কিছুদিন আগেই মুকুল রায়কে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দেয় রাজ্য বিজেপি কর্তৃপক্ষ।কিন্তু শুধু মুকুল যোগ করে থেমে থাকেনি বিজেপি কর্তৃপক্ষ।সূত্রে খবর এবার পালা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এক আত্মীয়ের।হ্যাঁ বিজেপি নেতৃত্ব এবার মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের এক আত্মীয়কে দলে নিতে চলছে।তাঁর সাথে প্রাথমিক ভাবে আলোচনা করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট আত্মীয় দেখা করেছিলেন ময়দানের এক পরিচিতি ক্লাবের হাত ধরে।তবে এক্ষনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রীর ওই আত্মীয় ,একটু সময় নিয়ে পা ফেলতে চান তিনি।তবে আপাতত মুকুল রায়এর সাথে তিনি যোগাযোগ রাখবেন বলে জানা গিয়েছে।অর্থাৎ এক কথায় মুখ্যমন্ত্রীর অন্দরমহলে থাবা বসাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।এখন শুধু দেখার কবে মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে।
মুকুল রায়কে সামনে রেখেই বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব৷ সূত্রের খবর, এবিষয়ে মুকুলবাবুর ‘স্ট্যাজেডি’ মেনেই রাজ্য নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে এবিষয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে অমিত শাহর৷ ফোনালাপে রানি রাসমনি রোডের জমায়েতের জন্য বাহবাও জানিয়েছেন রাজ্য সম্পাদককে৷এদিকে দলে যোগ দিয়েই গুজরাটে ভোট প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন চাণক্য৷ সূত্রের খবর, রবিবার দিলীপ ঘোষকে ফোন করার পাশাপাশি রাতে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে মুকুলের সঙ্গে দেখা করেছেন অমিত৷ সূত্রের খবর, রানি রাসমণি রোডের জমায়েত দেখে উত্ফুল্ল অমিত মুকুল রায়ের প্রশংসা করেছেন৷ এখনই রাজ্য সভাপতি পদে কোনও রদবদল না করা হলেও মুকুল রায়কে মাথায় রেখে শীঘ্রই একটি মনিটরিং কমিটি গড়তে চলেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা৷ দলীয় সূত্রের খবর, ওই কমিটিতে মুকুল রায়ের পাশাপাশি দলের এরাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলায় বিজয়বর্গী ও রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষকে রাখা হবে৷
দলের কেন্দ্রীয় স্তরের এক নেতা জানান, ‘‘আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ মুকুল রায় দলবদল করার পর আমাদের টার্গেটও বদল আনা হয়েছে৷ এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা 70হাজারের কিছু বেশি৷ অন্ততপক্ষে 30 হাজার বুথ দখলের লক্ষ্য নিয়েই আমরা ময়দানে নামছি৷’’ ইতিমধ্যেই রাজ্যের কোন বুথের রাজনৈতিক হাল কি, কার কোথায় ক্ষমতায় রয়েছে, কোন কোন বুথে তৃণমূলে ভাঙন ধরানো যেতে পারে – ইতিমধ্যে তার বিস্তারিত তথ্য অমিত শাহর কাছে দিয়ে এসেছেন মুকুল রায়৷দলের একটি সূত্রের খবর, মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদানের পর কলকাতা বিমান বন্দর থেকে বিজেপি-র রাজ্য অফিস পর্যন্ত মুকুল রায়কে ঘিরে যে উন্মাদনা দেখা গিয়েছে তাতে যারপরনাই আনন্দিত বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা৷ কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে গেরুয়া শিবিরের কোনও নেতাকে ঘিরে এমন সুনামী সুলভ মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের নজির নেই বললেই চলে৷ স্বভাবতই, মুকুল রায়কে সামনে রেখেই আগামী দিনে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা৷
EmoticonEmoticon