মার্কিংযুক্তরাস্ট্রের সমীক্ষায় মোদীর পপুলারিটি বর্তমানে কতো ? পড়ুন এই বিশেষ প্রতিবেদনটি..

- November 16, 2017

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অর্থনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের ইতিবাচক মনোভাবের কারণেই জনপ্রিয়তা বেড়েছে নরেন্দ্র মোদির। দশের জন্য আট জনই বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভাল। বস্তুত, 2014 লোকসভা ভোটের পর যত সংখ্যক মানুষ দেশের অর্থনীতি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতেন, তার থেকে এখন 19 শতাংশ বেশি মানুষ মোদির অর্থনৈতিক নীতিকে সমর্থন জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের বড় অংশই আবার বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভাল। গত তিন বছরে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ হারে। সবমিলিয়ে দশ জনের ভারতীয়ের মধ্যে সাতজনই যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন মোদি, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।গত বছরের নভেম্বরে রাতারাতি নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এবছর চালু হল জিএসটি। এই দুটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে এখন মোদি বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ব্যর্থ। আর জিএসটি-র ক্ষেত্রে অযথা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, ঘটনা হল, এতকিছুর পরেও এখনও এদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিটি হল নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদিই। জনপ্রিয়তার বিচারে কংগ্রেস সহ-সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি, সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। একটি মার্কিন সংস্থার সমীক্ষায় এমনই তথ্য মিলেছে।ভোটমুখী গুজরাটে রাহুল গান্ধীর সক্রিয়তা নজর কে়ড়েছে রাজনৈতিক মহলের। বস্তুত, জিএসটি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ সুরাতের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ। এসব দেখে অনেকেই বলছেন, নিজের রাজ্যেই বিধানসভা ভোটে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছেন মোদি। প্রশ্ন উঠছে, 2019 সালে লোকসভা ভোটে কী কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে মোদিকে? তাঁর নেতৃত্বে কী আস্থা হারাচ্ছেন দেশবাসী? তবে মোদির জনপ্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা তো অনেক দূরের ব্যাপার, তাঁর ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি রাহুল গান্ধী। অন্তত এক মার্কিন সংস্থার সমীক্ষা তো তাই বলছে। চলতি বছরের ফ্রেরুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এদেশে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল মার্কিন সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার। সেই সমীক্ষা দেখা গিয়েছে, এখনও দেশের 88 শতাংশ মানুষই মোদির উপর আস্থা রাখছেন। রাহুল গান্ধীর প্রতি আস্থাশীল মোটে 58 শতাংশ মানুষ। আর কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সমর্থন করেছেন যথাক্রমে 57 শতাংশ ও 39 শতাংশ মানুষ।সুতরাং, সমীক্ষা থেকে এটা পরিস্কার, গত তিন বছরের শাসনকালে দেশে মোদির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। কিন্তু, রাজ্যওয়াড়ি বা অঞ্চলভিত্তিক জনপ্রিয়তার বিচারে মোদির অবস্থান ঠিক কেমন? সমীক্ষা বলছে, 2015 সাল থেকে উত্তর ভারতে মোদির জনপ্রিয়তা মোটের উপর একই আছে। তবে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয়তার কিছুটা বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে পূর্ব ভারতে মোদি ততটা জনপ্রিয় নন।


EmoticonEmoticon

 

Start typing and press Enter to search