আজকাল রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে । তাই রোহিঙ্গা রহস্যটা জানা প্রয়োজন । 1824 খৃষ্টাব্দে ব্রিটিশরা বার্মা দখল করে। তারা কৃষিকর্মের জন্য পূর্ব বঙ্গের চিটাগং থেকে কিছু শ্রমিক বার্মার আরাকান (রাখাইন) প্রদেশে নিয়ে যায় ।
এদের বেশিরভাগই ছিল মুসলিম এবং কিছু ছিল হিন্দু । এজন্য চিটাগঙের ভাষার সাথে এদের ভাষার মিল এখনও আছে । অতীতে বা বর্তমানে রোহিঙ্গা বলে কোন জাতি বা সম্প্রদায় ছিল না বা নেই । ব্রিটিশরা বার্মা ত্যাগ করলেও এরা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে ও সমস্ত প্রকার সরকারি সূযোগ সুবিধা পেতে থাকে ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে স্বাগত জানালেন তাতে আবারও তাদের বন্ধুত্বের প্রমান পাওয়া গেলো।
কিন্তু এরা চোরাচালান, ড্রাগপাচার , লুঠপাট, খুন , ধর্ষণ প্রভৃতি অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে । ধীরে ধীরে এই এলাকায় এদের প্রভাব বিস্তার হতে থাকে । ক্রমশ এরা বেপরোয়া হতে থাকে । এরা স্থানীয় ভূমিপূত্র বার্মিজদের উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করে । 1947 সালে ভারত স্বাধীন হলে এরা আরাকান প্রদেশকে পূর্ববঙ্গের সাথে যুক্ত করার চেষ্টা চালায় । এতে সফল না হলে এরা বার্মা সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করে।
বাধ্য হয়েই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য 1950 ও 1952 সালে বার্মা সরকার এদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালায় । 1971 সালে রোহিঙ্গারা আবার ইসলামিক রাষ্ট্রের দাবী তোলে এবং সশস্ত্র জিহাদ শুরু করে।স্থানীয় বৌদ্ধদের রেপ , হত্যা , বিতাড়ন শুরু করে দেয় । ফলে 1978 সালে এই অতি তৎপরতা রুখতে বার্মা সরকারকে আবার সেনা অভিযান চালাতে হয় । এতেও কোন ফল না হলে 1982 সালে বার্মা সংবিধান সংশোধন করে এদের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয় । কিন্ত হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদান করে তাদের শান্তিপূর্ন সহাবস্তানের জন্য ।
স্বামীজির শিকাগো বক্তৃতার 125 বছর পূর্তিতে নরেন্দ্র মোদিজির ভাষণের এমন কয়েকটি উক্তি যা আপনাকে জাগিয়ে তুলবে
ইতিমধ্যে দেশটিতে একটি উল্লেখ যোগ্য ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ 40 বছর ধরে (April 2 , 1948 -September 21 , 1988) Communist Party of Burma এর সহিত বার্মার যুদ্ধ শেষ হয় ও CPB কে ব্যান করা হয় । 1994 সালের 28 এ এপ্রিল রোহিঙ্গারা Maungdaw শহরে 9 (12টির মধ্যে) টি বোমা পরপর বিস্ফোরণ করে। এছাড়া বার্মা পুলিশ ও সেনাদের উপর হামলা চলতে থাকে । 2012 সালে 28 শে মে তিন রোহিঙ্গা এক বৌদ্ধ নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে। ফলে বৌদ্ধদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে পড়ে। ঐ বছরেই আগষ্ট মাসে রোহিঙ্গারা রাখাইন প্রদেশের নূতন নাম রাখে Islamic State of Ramanland ও Sittwe শহরের নাম রাখে Syahida। ফলে শুরু হয় রোহিঙ্গা বিতাড়ন । রোহিঙ্গারা ARSA নামে একটি জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলে। এটি মূলত গড়ে উঠেছে সৌদি আরবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা । এর নেতৃত্বে রয়েছে আতাউল্লা যে করাচীতে জন্মেছে ও সৌদিতে বড় হয়েছে । সৌদি আরবস্থিত একটি( wdf) মানবাধিকার সংগঠন এদের সাহায্য করে চলেছে ।
বাংলাদেশ , পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার কিছু মুসলিম, চীন ও শ্রীলঙ্কার কিছু নির্যাতনের পুরনো ছবিকে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে । এমনকি একশ্রেনির লোক এর প্রতিবাদে চাকমা বৌদ্ধ ও হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে । ভারতবর্ষের কিছু দেশ বিরোধী মানুষ প্রকাশ্যে এদের সমর্থন করছে। জম্মুতে 370 ধারাকে তোয়াক্কা না করে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর ডেমোগ্রাফি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রশান্ত ভূষনের মত স্বঘোষিত মানবতাবাদী রোহিঙ্গা দের পক্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছে যাতে ভারত সরকার তাদের বার্মাতে ফেরত না পাঠায় যার সুনানী রয়েছে 5 ই সেপ্টেম্বর ।
বর্তমানে ভারতে 40 হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি তারা প্রকাশ্যেই ''দার উল ইসলাম" এর জন্য সরব হয়েছে যা ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক । অন্যদিকে বাংলাদেশের সাথে বার্মার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে যা ভবিষ্যতে দুটো দেশকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে । বর্তমানে বার্মাতে অবস্থিত রোহিঙ্গারা একটা নতুন পরিকল্পনা করেছে।
তারা রাতের বেলায় কালো কাপড় ঢেকে হিন্দুদের উপর আক্রমন শুরু করেছে যাতে ভারত এই ব্যাপারে নাক গলায় এবং ভারতের সাথে বার্মার সম্পর্ক খারাপ হয় । চারটি গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে মন্দির ভেঙেছে, হত্যা ও লুটপাট করেছে। এরকম অত্যাচারিত একটি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে উপস্থিত হয়েছে । তারা BBCকে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে এই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে। বার্মার সেনা আক্রমন করলে মুখ ঢাকার কোন প্রয়োজন ছিল না । তাই রোহিঙ্গারা মোটেই নীরিহ নয়, এরা নিজেদের দূর্দশার জন্য নিজেরাই দায়ী ।
PHOTO BY GOOGLE.COM |
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে স্বাগত জানালেন তাতে আবারও তাদের বন্ধুত্বের প্রমান পাওয়া গেলো।
কিন্তু এরা চোরাচালান, ড্রাগপাচার , লুঠপাট, খুন , ধর্ষণ প্রভৃতি অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে । ধীরে ধীরে এই এলাকায় এদের প্রভাব বিস্তার হতে থাকে । ক্রমশ এরা বেপরোয়া হতে থাকে । এরা স্থানীয় ভূমিপূত্র বার্মিজদের উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করে । 1947 সালে ভারত স্বাধীন হলে এরা আরাকান প্রদেশকে পূর্ববঙ্গের সাথে যুক্ত করার চেষ্টা চালায় । এতে সফল না হলে এরা বার্মা সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করে।
বাধ্য হয়েই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য 1950 ও 1952 সালে বার্মা সরকার এদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালায় । 1971 সালে রোহিঙ্গারা আবার ইসলামিক রাষ্ট্রের দাবী তোলে এবং সশস্ত্র জিহাদ শুরু করে।স্থানীয় বৌদ্ধদের রেপ , হত্যা , বিতাড়ন শুরু করে দেয় । ফলে 1978 সালে এই অতি তৎপরতা রুখতে বার্মা সরকারকে আবার সেনা অভিযান চালাতে হয় । এতেও কোন ফল না হলে 1982 সালে বার্মা সংবিধান সংশোধন করে এদের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয় । কিন্ত হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদান করে তাদের শান্তিপূর্ন সহাবস্তানের জন্য ।
স্বামীজির শিকাগো বক্তৃতার 125 বছর পূর্তিতে নরেন্দ্র মোদিজির ভাষণের এমন কয়েকটি উক্তি যা আপনাকে জাগিয়ে তুলবে
ইতিমধ্যে দেশটিতে একটি উল্লেখ যোগ্য ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ 40 বছর ধরে (April 2 , 1948 -September 21 , 1988) Communist Party of Burma এর সহিত বার্মার যুদ্ধ শেষ হয় ও CPB কে ব্যান করা হয় । 1994 সালের 28 এ এপ্রিল রোহিঙ্গারা Maungdaw শহরে 9 (12টির মধ্যে) টি বোমা পরপর বিস্ফোরণ করে। এছাড়া বার্মা পুলিশ ও সেনাদের উপর হামলা চলতে থাকে । 2012 সালে 28 শে মে তিন রোহিঙ্গা এক বৌদ্ধ নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে। ফলে বৌদ্ধদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে পড়ে। ঐ বছরেই আগষ্ট মাসে রোহিঙ্গারা রাখাইন প্রদেশের নূতন নাম রাখে Islamic State of Ramanland ও Sittwe শহরের নাম রাখে Syahida। ফলে শুরু হয় রোহিঙ্গা বিতাড়ন । রোহিঙ্গারা ARSA নামে একটি জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলে। এটি মূলত গড়ে উঠেছে সৌদি আরবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা । এর নেতৃত্বে রয়েছে আতাউল্লা যে করাচীতে জন্মেছে ও সৌদিতে বড় হয়েছে । সৌদি আরবস্থিত একটি( wdf) মানবাধিকার সংগঠন এদের সাহায্য করে চলেছে ।
বাংলাদেশ , পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার কিছু মুসলিম, চীন ও শ্রীলঙ্কার কিছু নির্যাতনের পুরনো ছবিকে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে । এমনকি একশ্রেনির লোক এর প্রতিবাদে চাকমা বৌদ্ধ ও হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে । ভারতবর্ষের কিছু দেশ বিরোধী মানুষ প্রকাশ্যে এদের সমর্থন করছে। জম্মুতে 370 ধারাকে তোয়াক্কা না করে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর ডেমোগ্রাফি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রশান্ত ভূষনের মত স্বঘোষিত মানবতাবাদী রোহিঙ্গা দের পক্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছে যাতে ভারত সরকার তাদের বার্মাতে ফেরত না পাঠায় যার সুনানী রয়েছে 5 ই সেপ্টেম্বর ।
বর্তমানে ভারতে 40 হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি তারা প্রকাশ্যেই ''দার উল ইসলাম" এর জন্য সরব হয়েছে যা ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক । অন্যদিকে বাংলাদেশের সাথে বার্মার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে যা ভবিষ্যতে দুটো দেশকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে । বর্তমানে বার্মাতে অবস্থিত রোহিঙ্গারা একটা নতুন পরিকল্পনা করেছে।
তারা রাতের বেলায় কালো কাপড় ঢেকে হিন্দুদের উপর আক্রমন শুরু করেছে যাতে ভারত এই ব্যাপারে নাক গলায় এবং ভারতের সাথে বার্মার সম্পর্ক খারাপ হয় । চারটি গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে মন্দির ভেঙেছে, হত্যা ও লুটপাট করেছে। এরকম অত্যাচারিত একটি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে উপস্থিত হয়েছে । তারা BBCকে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে এই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে। বার্মার সেনা আক্রমন করলে মুখ ঢাকার কোন প্রয়োজন ছিল না । তাই রোহিঙ্গারা মোটেই নীরিহ নয়, এরা নিজেদের দূর্দশার জন্য নিজেরাই দায়ী ।
[বি: দ্র:~ সুপ্রভাত.ইন ,বাংলাতে প্রকাশিক নতুন ব্লগ এ আপনাকে স্বাগত , আপনাদের প্রতি অনুরোধ আমাদের ব্লগ এ আপনার ইমেইল টি সাবস্ক্রাইব করুন পরবর্তী পোস্ট সর্বপ্রথম পেতে । আপনি Google Chrome ব্যবহারকারী হলে , লাল ঘন্টা বোতাম এ টিপে সাবস্ক্রাইব করে দিন। আমাদের পোস্ট গুলি ভালো লাগলে আপনাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে অবশ্যই শেয়ার করুন ]
EmoticonEmoticon