মনে করা হয়,ভারতে রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি ব্রিটিশদের জন্য হয়েছিল এবং ভারতীয়দের রাজনৈতিক দিক দিয়ে জাগ্রত করার জন্য কংগ্রেসে নামক সংগঠনের উত্থান করা হয়েছিল।পরবর্তীতে সেটা একটা পার্টিতে পরিণত হয়ে যায় এবং গান্ধী পরিবারের অধিকারে চলে আসে।গান্ধী পরিবারের হাতে পার্টি আসার পর সেটা থেকে গান্ধী পরিবার বংশবাদের জন্ম দেয়।পার্টির মুখ্য গান্ধী বা নেহেরু পরিবার থেকে হয়ে আসছে,এটাই তার বড়ো প্রমান।বর্তমানে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি পদে সোনিয়া গান্ধী না থাকায় উনার জায়গায় তার ছেলে রাহুল গান্ধী আছেন।এই নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরমহলে বিরোধিতাও শুরু হয়েছিল।তৃণমূল পার্টিতেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উনার ভাইপোকে দলের বড়ো পদে বসিয়েছেন। অন্যদিকে যদি বিজেপি পার্টিকে দেখা হয়,তাহলে দেখবেন এখানে এমন নিয়মে পার্টি চালানো হয় যা অন্য রাজনৈতিক পার্টির থেকে আলাদা।
আসলে ভারতীয় জনতা পার্টিতে বংশবাদের জায়গা প্রায় নেই।এই পার্টির এমন কিছু নিয়ম আছে যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর তৈরী।নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর জোড়া দ্বারা তৈরি এই নিয়ম অনুসারে, "কারোর ছেলে বা মেয়ে যদি মন্ত্রীর কোনো পদ পায়, তাহলে পিতাকে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং যদি কোনো পিতা কোনো প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয় তাহলে তার ছেলে বা মেয়েকে কোনো অবস্থাতেই কোনো নেতা বা মন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে না।" এই নিয়মগুলি মৌখিক হলে বিজেপির সবাইকে এই নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।
বিজেপির দুই উচ্চ কামান্ডের দ্বারা তৈরী এই নিয়মটি অন্যান রাজনৈতিক দলের জন্য একটা বড় সমস্যা ,কারণ অন্য রাজনৈতিক দলে বংশবাদকে মানুষের সামনে তুলে ধরার একটা সুযোগ পায় এবং নরেন্দ্রমোদী এবং অমিত শাহের তৈরী এই নিয়মে জনসাধারণের মধ্যে বিজেপি নিজের একটা ভালো স্বচ্ছ ছবি তুলতে সক্ষম হয়।
24 ghanta
24 ghanta
EmoticonEmoticon