নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এর সঙ্গে জড়িত অনেক রহস্য এখনো মানুষের কাছে অজানা।সম্প্ৰতি ইন্ডিয়া টুডে এইরকম এক রহস্য ফাঁস করার পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে যা ভারতবর্ষের প্রত্যেক দেশপ্রেমিক অবাক করার সাথে সাথে তাদের আঘাত করে।আসলে বিষয় টা হলো নেতাজির জমা করা টাকা -পয়সা ও ধন সম্পত্তি নিয়ে।সেই টাকা-পয়সা যেটা দেশের স্বাধীনতা লড়াইয়ের জন্য তিনি সংগ্রহ করেছিলেন।কিন্তু নেতাজির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে ওই টাকা-পয়সা লুটে নেওয়ার জন্য লেগে পড়ে কিছু লোক।
করা ছিল সেই লোক,যারা নেতাজির জমা করা ধনসম্পত্তি লুটে নিয়েছিলেন?
স্বাধীনতার এত বছর পরেও এই রহস্য গুলিকে মানুষের কাছে থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে এর হাতে টপ সিক্রেট ফাইল আসার সাথে সাথে আজাদ হিন্দ ফৌজ এর জন্য নেতাজির জমানো সমস্ত ধনসম্পত্তির গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।নেতাজির কাছে কত ধনসম্পত্তি ছিল,কিভাবে জমা হয়েছিল সেই ধনসম্পত্তি এবং শেষ পর্যন্ত কোথায় গেল সেই ধনসম্পত্তি ,এর সমস্ত তথ্য প্রকাশ করে ইন্ডিয়া টুডে তাদের ম্যাগাজিনে।নেতাজির জমা করা ধনসম্পত্তি ৪ টি বড় স্টিল এর বাক্সের মধ্যে বন্ধ করা ছিল।যার মধ্যে ছিল ৮০ কিলো সোনা,এছাড়া ছিল সোনার গয়না,হীরা,সোনার তৈরী কয়েন ছিল।তাছাড়াও হিটলারের দেওয়া সোনার তৈরী সিগারেটএর বাক্সের মতো দামি উপহারও ছিল এবং ১ কোটি টাকারও বেশি নগদ টাকাও ছিল।আজাদ হিন্দ ব্যাংকে ৪২ কোটি টাকা এবং ২৮,০০০ সোনার কয়েনও ছিল।এত বিপুল পরিমান ধনসম্পত্তির কথা জহরলাল নেহেরু ভালোভাবেই জানতেন।কিন্তু উনি এই বিষয় নিয়ে কোনো তদন্ত করেননি উল্টে যারা এই ধনসম্পতি চুরির সাথে যুক্ত ছিলেন তাদের পুরস্কার দেন এবং সরকারে বিশেষ পদও দিয়েছিলেন।জানা গেছে নেতাজির ধনসম্পত্তি চুরি করেছিলেন উনারই কিছু ঘনিষ্ট যার মধ্যে এ আইয়ের ও এইম রামামূর্তির নাম জড়িত।আরো জানা গেছে জাপান সরকার বার বার জহরলাল নেহেরুকে এব্যাপারে সূচিত করা সত্ত্বেও তিনি কিছু ব্যবস্থা নেননি ।উল্টে এদের মতো লোকদের পুরস্কিত করেন এবং তাদের সরকারে পদ দেন,যেটা রাষ্ট্রের সাথে একটা বড় ধোকা।নেতাজির কাছে এত বিপুল পরিমান ধনসম্পত্তি দেশের সাধারণ মানুষ দেশকে স্বাধীন করার জন্য নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে দিয়েছিলেন।কিন্তু উনি মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু লোভী মানুষ সেই ধনসম্পত্তি চুরি করে রাষ্ট্রে সাথে বেইমানি করেন।ইন্ডিয়া টুডেএর মতানুযায়ী ,দেশের হাজার,হাজার মানুষ স্বাধীনতার জন্য এত বিপুল ধন নেতাজিকে দিয়েছিলেন।এখনো সরকারিভাবে সেই দস্তাবেজগুলি বের করা হয়নি যেখানে এই ব্যাপারে সমস্ত তথ্য রয়েছে।এখন দেখার সরকার কখন সেই তথ্য বের করে মানুষের সামনে নিয়ে আসে।
EmoticonEmoticon