মোদী সরকারের আমলে চিন এবং পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা শেষ ছিলো না, এখুন আবারও এক বড় দুশ্চিন্তা চিন এবং পাকিস্তানের উপর,বহুগুণ বাড়িয়ে বেনজির সাফল্য পেল ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস-কে নিয়ে আগে থেকেই চিন্তায় ছিল ভারতের সব প্রতিপক্ষ ই চিন্তা আরও বাড়িয়ে সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে সফল ভাবে নিক্ষিপ্ত হল ব্রহ্মস। বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফেই এ কথা জানানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ভাসমান নির্ধারিত লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হেনেছে ব্রহ্মস, জানিয়েছে মন্ত্রক।সুখোই-৩০এমকেআই এই মুহূর্তে ভারতের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমানগুলির অন্যতম। আর ব্রহ্মস শুধু ভারতের নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বিরাট অংশই তেমনটাই মনে করেন। ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল। শব্দের গতির প্রায় তিন গুণ বেগে এই ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে যায় লক্ষ্যের দিকে।
প্রথাগত বিস্ফোরক বা পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আঘাত হানতে পারে ৪৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে।আমেরিকার হাতে থাকা টোমাহক হল পৃথিবীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলির অন্যতম। আফগানিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়ায় ন্যাটোর বিমান বহর এই ক্ষেপণাস্ত্র সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করেছে। তালিবান বা আইএস-এর কাছে দুঃস্বপ্নের অন্য নাম হয়ে উঠেছিল ন্যাটোর ওই সব ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু টোমাহক কোনও সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নয়। শব্দের চেয়ে বেশি বেগে সেটি ছোটে না। ভারতের ব্রহ্মস শব্দের বেগের তিন গুণ গতিতে ছোটে। তাই এই ক্রুজ মিসাইল ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের সমীহ আদায় করে নিয়েছে। পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্রহ্মসকে স্থল-জল-অন্তরীক্ষ, তিন অবস্থান থেকেই ছুড়তে পারবে ভারত— এর অর্থ কী, তা ভালই বুঝছে বিরোধী দেশ গুলি। দেশের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীদের এবং বায়ুসেনার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা সশস্ত্র বাহিনী।স্থলভাগ থেকে এবং যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রহ্মস ছোড়া হয়েছিল আগেই। যুদ্ধবিমান থেকেও যাতে ছোড়া যায় পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি, তার চেষ্টাও চলছিল বছর খানেক ধরে। সেই চেষ্টায় সফল হল ভারত। সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হল ব্রহ্মস, বঙ্গোপসাগরের বুকে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানল ক্ষেপণাস্ত্রটি।
EmoticonEmoticon